Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪

ইতিহাস ও কার্যাবলি


বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স- জাতীয় পতাকাবাহী ক্যারিয়ার

                                                  

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ স্বাগতম। আপনার যাত্রা আরামদায়ক,  উপভোগ্য ও সর্বোপরি নিরাপদ করার জন্য আমরা সদা তৎপর। যাত্রাপথে সম্মানিত অতিথির রসনাতৃপ্তির জন্য ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের সমারহের সাথে সহযাত্রী হিসাবে পাবেন বাঙালী আতিথেয়তা। সম্মানিত অতিথিদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে বিমান প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

 

এ যাত্রার শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৫১ বছর আগে। সম্ভবত যখন আমাদের সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশের স্বাধীন মানুষগুলো আকাশপানে তাকিয়ে ভেবেছিল- একদিন আমাদেরও হবে এক স্বপ্নতরী, যাতে চড়ে উড়ে যাওয়া যাবে দূর-দূরান্তে। বাংলাদেশের জনগণের সেই আশা ও আকাঙ্ক্ষাই জন্ম দিয়েছে বিমানের। যার ডানায় চড়ে তারা ছাড়িয়ে যেতে পারবে সূর্যাস্তের রক্তিম দিগন্তটাকেও। আর ওই স্বপ্নটা সত্য হয়েছিল ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি।

 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান বিমান । সরকারের দেওয়া বিমানবাহিনীর একটি ডিসি-৩ এয়ারক্রাফটের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ যাত্রা। ১৯৭২ সালের ৭ মার্চ চট্টগ্রাম ও সিলেটে এবং ৯ মার্চ যশোরে একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে আকাশে উড়ে বিমান। এভাবেই শুরু হয়েছিল বিমানের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম। এরপর থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি ঐতিহ্যের এ ধারকটিকে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের তিন দিন আগে অর্থাৎ ৪ মার্চ তারিখে ১৭৯ জন যাত্রীকে লন্ডন থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার মাধ্যমে বিমানের প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সম্পন্ন হয়।

 

যাত্রীদের বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তৈরি করেছে দিগন্ত বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। বিশ্বব্যাপী ভ্রমণবিলাসী সম্মানিত যাত্রীগণের এ প্রত্যাশা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ০৬টি ব্রান্ড নিউ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং ৩ টি ড্যাশ ৮-৪০০ সহ বিমানের বহরে উড়োজাহাজ সংখ্যা ২১ টি। যাত্রীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা এবং নিরাপত্তাকে সবসময় আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি-যা চলমান বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারীতে আরও জোরদার করা হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণজনিত চ্যালেন্জ মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ICAO, CAAB, IATA এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ও নির্দেশনা নিবিড়ভাবে অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসাবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার ও শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবার ল্যান্ডিং এর পরে উড়োজাহাজ সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্তকরণ করা হচ্ছে।   

 

কোভিড-১৯ এর বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতেও বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রম কখনোই থেমে ছিল না। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের দেশে ফেরার জন্য এবং দেশ হতে অন্য গন্তব্যে পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চার্টার ও বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘ শান্তি মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফ্লাইট সুনামের সাথে পরিচালনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে সেফটি বজায় রেখে ঢাকা-গুয়াংজু এবং ঢাকা-হংকং রুটে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করা হয়েছে।

 

সম্প্রতি ঢাকা-ম্যানচেস্টার, ঢাকা-মদিনা, চট্টগ্রাম-মদিনা এবং সিলেট-লন্ডন রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-চেন্নাই, ঢাকা-টোকিও, ঢাকা-টরন্টো এবং ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট পরিচালনার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি সম্মানিত যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় বিদ্যমান রুটে  ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ সকল ফ্লাইট চালু হলে দিল্লী, চেন্নাই, কলকাতা, ব্যাংকক, কাঠমুন্ডু থেকে সম্মানিত যাত্রীগণ ২-৪ ঘন্টার মধ্যে জাপান, লন্ডন, টরন্টো ও নিউইয়র্ক ফ্লাইটের সংযোগ ফ্লাইট পাবেন যেখানে ঢাকা আঞ্চলিক ‘হাব’ হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করবে।

 

এছাড়া, স্মার্টফোনে “বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স” অ্যাপ ডাউনলোডের মাধ্যমে যাত্রীরা সকল গন্তব্যের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। ভিসা, মাস্টারকার্ড, অ্যামেক্স এবং নেক্সাস ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড, বিকাশ এবং রকেট ব্যবহার করেও টিকিট ক্রয় করা যাবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীগণ ফ্লাইট সম্পর্কিত সকল তথ্য, ফ্লাইট স্ট্যাটাস, ফ্লাইট শিডিউল, সেলস সেন্টার সমূহের ঠিকানা,অনলাইন টিকেট ও রিফান্ড হেল্পডেস্ক এবং টিকেট বুকিং সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন। সম্মানিত যাত্রীগণ গুগল প্লে স্টোর অথবা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর  থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে স্ব স্ব প্রোফাইল তৈরীপূর্বক রিজার্ভেশন স্ট্যাটাস চেকিংয়ের সুবিধা অর্জনে সক্ষম হবেন।

 

আপনার ভ্রমণ নির্ঝঞ্ঝাট, নিরাপদ ও উপভোগ্য হউক, সে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। ভবিষ্যতে সেবার মান বাড়াতে আপনার মন্তব্য ও পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে যা আমাদের কর্ম পরিকল্পনায় সহায়ক হবে। বিমানের সঙ্গে থাকার জন্য বিমান পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ রেখে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনার যাত্রা শুভ হোক!