Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ জানুয়ারি ২০১৮

মানবতার কল্যানে বিমান


প্রকাশন তারিখ : 2017-01-31

          
 

জাতীয় পতাকার লাল সবুজ রং মেশানো 'বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স' প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রবাসীদের পাশে রয়েছে।বিমান সদ্য বিদায়ী  ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সম্পূর্ণ বিনা ভাড়ায় ৮৬১ জন প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকের লাশ বহন করেছে। এর মধ্যে আবুধাবি থেকে ২৭ জন, দোহা থেকে ৮জন, দাম্মাম থেকে ৯৩ জন, দুবাই থেকে ৫৯ জন, কুয়ালালামপুর থেকে ৬২ জন, জেদ্দা থেকে ৩২ জন, কুয়েত থেকে ৯১ জন, মাস্কাট থেকে ১৭৩ জন ও রিয়াদ থেকে ৩১৬ জন প্রবাসীর লাশ দেশে এনেছে। এয়ারলাইন্সের ইতিহাসে মানবতার কল্যানে এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত ।


প্রতিষ্ঠা পরবর্তী গত চার দশকেরও বেশী সময় ধরে বিমান দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে আসছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত রেমিটেন্সের সাথে জড়িত প্রবাসী বাংলাদেশীরা, আর বিশ্বের নানা প্রান্তে কর্মরত অভিবাসী বাংলাদেশীদের পরিবহনে বিমান সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও বিশ্বের আন্তর্জাতিক সংকটে, যুদ্ধাবস্থায়, বিপদগ্রস্থ বাংলাদেশী কর্মীদেরকে দ্রুততম সময়ে দেশে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমান বিভিন্ন গন্তব্যস্থল থেকে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশী নাগরিকদের মরদেহ বিনামূল্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশে বয়ে এনে জাতীয় সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসাবে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বিমান।

দূর্ঘটনাসহ নানা কারণে মৃত প্রবাসীশ্রমিকদের লাশ বিনাখরচে বহন করেছে এই এয়ারলাইন্স।গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৮৬১ জন প্রবাসীর লাশ  সম্পুর্ন বিনা ভাড়ায় দেশে নিয়ে আসে। যেখানে একেকটা লাশ বহন করতে অন্য এয়ারলাইন্সগুলোকে লক্ষাধিক টাকা পরিশোধ করতে হয়।  ৮৬১ জন প্রবাসীর মরদেহ বহনে বিমান স্বজনদের কাছ থেকে কোন অর্থ নেয়নি। এসব মরদেহ পরিবহন খাত থেকে  বিমানের ০৮ কোটি ৪০ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হতো।


বিমান বাংলাদেশ  এয়ারলাইন্সের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মত ক্রমবর্ধিষ্ণু জনগোষ্ঠীর দেশে অভিবাসন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স জাতীয় উন্নয়নের অগ্রগতিকে আরো ত্বরান্বিত করছে। প্রবাসী কর্মীদের বিদেশ যাত্রাকে সহজ ও নিরাপদ রাখতে বিমান সব সময় অগ্রাধিকার দেয়। প্রবাসীদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই বেশির  ভাগ ফ্লাইটের রুট ও সময় নির্ধারণ করা হয়। সম্প্রতি শুধু মাত্র প্রবাসীদের যাতায়াতকে আরও সহজ করতে সৌদি আরবের জেদ্দা,রিয়াদ ও দাম্মামের পাশপাশি  মদিনা থেকে ফ্লাইট পরিচালানার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন,প্রবাসীরা আয়ের জন্য দেশের বাহিরে যান। নানা কারণে প্রবাসে তাদের মৃত্যু পরিবারে জন্য মর্মান্তিক। প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের  লাশ  বিমান বাংলাদেশে নিয়ে আসে, এজন্য মৃত প্রবাসীর স্বজনকে কোন খরচ দিতে হয় না। বিমান সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এ দয়িত্ব পালন করছে।