Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ জানুয়ারি ২০১৯

ঢাকায় এসে পৌঁছেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২য় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’


প্রকাশন তারিখ : 2019-01-09

ঢাকায় এসে পৌঁছেছে মার্কিন আকাশযান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২য় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’। শনিবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে এটি। ঢাকায় অবতরণের পর বিমান পরিবারের নতুন অতিথি ২য় ড্রিমলাইনার হংসবলাকা-কে ওয়াটার ক্যানন স্যালুট দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এসময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ, পরিচালক পরিকল্পনা এয়ার কমডোর মোঃ মাহবুব জাহান খান(অব:)বিপিপি, পিএসসিসহ বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের উধ্র্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে সিয়াটলের এভারেট থেকে কোনও যাত্রাবিরতি ছাড়াই টানা ১৫ ঘণ্টা উড়ে ঢাকায় এসেছে হংসবলাকা। বিজি-২১১২ ফ্লাইটটি পরিচালনা করেন চার পাইলট ক্যাপ্টেন স্মলস্কি, ক্যাপ্টেন মো. আমিনুল, ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী ও ফার্স্ট অফিসার আনিতা রহমান। ফ্লাইট পার্সার শবনম কাদিরসহ কেবিন ক্রু হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন পাঁচজন।

শনিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল প্রায় সাড়ে ৮টায় উড্ডয়ন করে এই আকাশযান। তার আগে এভারেটে লাল ফিতা কেটে নতুন ড্রিমলাইনারের যাত্রার উদ্বোধন হয়। দেশের পতাকাবাহী এয়ারলাইনসের আরেকটি ড্রিমলাইনার ফ্লাইট বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ উপলক্ষে এক বক্তব্যে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বলেন,‘বহরে ২য় ড্রিমলাইনার যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার বহরে যুক্ত হওয়ার পর লন্ডন, দাম্মাম ও ব্যাংকক রুটে এ উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে’।

গত ২৯ নভেম্বর সকালে যুক্তরাষ্ট্রে সিয়াটলের এভারেটে চাবি দিয়ে হংসবলাকার মালিকানা হস্তান্তর করে বোয়িং। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল এটি বুঝে নেন। এ সময় ছিলেন বোয়িং পরিচালক (ডেলিভারি কন্ট্রাক্ট) জন বর্বার ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া) এহসান রাজপুত।

এর আগে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত প্রথম বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’ গত ১৯ আগস্ট আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসে। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর পছন্দে ড্রিমলাইনারগুলোর নামকরণ হয়েছে।

২০০৮ সালে বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এরই অংশ হিসেবে বহরে যুক্ত হয়েছে ৬টি বিমান ও দুটি ড্রিমলাইনার। বাকি আছে কেবল দুটি ড্রিমলাইনার। এগুলোর নাম ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’। এ দুটি ড্রিমলাইনার আসবে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে।

ড্রিমলাইনারে আসন সংখ্যা মোট ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসের ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীদের জন্য আরামদায়কভাবে বিশ্রামের জন্য সহায়ক।

ড্রিমলাইনার ঘণ্টায় ৬৫০ মাইল বেগে টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম। এই আকাশযান চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে। অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। এছাড়া মোবাইল ফোনে রোমিং সুবিধা থাকলে আকাশে উড্ডয়নের সময় কল করা যাবে। এজন্য ২৫টি স্যাটেলাইটের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।