বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃক নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আজ ১৭ মার্চ উদযাপিত হলো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর বলাকার লবিতে কেক কাটা হয় এবং শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোর ও গৌরবময় কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব সাজ্জাদুল হাসান এবং সভাপতিত্ব করেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল। বিমানের পরিচালকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণসহ চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোর ও তাদের অভিভাবকগণ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব সাজ্জাদুল হাসান বলেন, “বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিচক্ষণ নেতৃত্বের অধিকারী এবং নিপীড়িত মানুষের নেতা। তিনি স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ তৈরি করে দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের মাঝে চমৎকার প্রতিভা লুকিয়ে আছে। এই প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। শিশুদেরকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।”
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও শিশু-কিশোরদের মাঝে জাতির পিতার শৈশব জীবনের নানা ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করেন। তিনি শিশুদেরকে বঙ্গবন্ধুর শৈশবকালীন স্থান ঘুরে দেখানোর জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন মহান দূরদর্শী নেতা। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।”
আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন আয়েশা সিদ্দিকা, দ্বিতীয় হন জান্নাতুল ফেরদৌস এবং তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন তানজিনা তাসনিম খান। চিত্রাঙ্কনে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন মাহিরা বিনতে হক, দ্বিতীয় হন মোহাম্মদ মিহরান হক এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন নিধিপা দেবনাথ।